বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

২৮ অক্টোবরে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

২৮ অক্টোবরে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

স্বদেশ ডেস্ক

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও পরবর্তীতে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নাশকতায় সক্রিয় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। গ্রেপ্তার এই ছাত্রদল নেতা মহাসমাবেশের দিন পল্টন পার্টি অফিস এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি করছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার শামীমকে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার ড. খ. মহীদ উদ্দীন।

তিনি বলেন, ‘শামীম গত ২৬ অক্টোবর থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যার বাস্তবায়ন করেছিল ২৮ অক্টোবর। সেদিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সে পল্টন পার্টি অফিস ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নাশকতার জন্য ঢুকেছিল। ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে সে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’

শামীমকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দীন বলেন, ‘সে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নাম্বার যুগ্ম আহবায়ক। শামীমের কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী সমাবেশের আগে দনিয়া ফুটওভার ব্রিজের নিচে গিয়ে মারুফ নামের একজনের থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করেন। সেটি এনে রিয়াদ নামের একজনের কাছে নয়া পল্টনে পৌঁছে দেবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটা করাও হয়। ২৮ তারিখে সে কাজগুলো তারা করতেও পারে সফলভাবে।’

ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘চলতি মাসের ৫ অক্টোবর সবুজবাগ থানার মানিকদিহি গ্রিন মডেল টাউনের ভিতরের শেষ মাথায় খালপাড়ে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা করছে। পাশেই সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুস্কৃতকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, একটি পেট্রলবোমা, দুইটি ২৫০ মিলি প্লাস্টিকের বোতলে ৫০০ মিলি পেট্রল, একটি নীল রংয়ের মোটরসাইকেল, একটি লাল রংয়ের হেলমেট।’ সেদিন জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে ছাত্রদল নেতা শামীমকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এ ছাড়া বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবীর ১১ নাম্বার ওয়ালটনের গলিতে পার্কিং করা অবস্থায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগকারী মারুফকে গেপ্তার করেছে পুলিশ।

মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে ও তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে এই বাসে আগুন দেয়। এই কাজের জন্য তাকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে।’

বিএনপির তালাবদ্ধ অফিসের চাবি পুলিশের হাতে দলটির এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. খ মহিদ উদ্দীন বলেন, ‘এর আগে একাধিকবার বলেছি বিএনপির অফিসের চাবি তাদের হাতে। একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছি এই চাবি তো আমাদের হাতে নয়।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877